উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮/০৪/২০২৪ ৯:২৮ এএম

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এবার চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে (চকরিয়া-পেকুয়া) আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এলাকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে তিনি আবারও উপজেলায় প্রার্থী হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন বলে তিনি নিজেই জানিয়েছেন।

তবে জাফর আলমের দাবি, আগের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নতুন সংসদ সদস্য সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে সহযোগিতা করতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হতে চাচ্ছেন তিনি।

জানা যায়, জাফর আলম ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-১ আসনে (চকরিয়া-পেকুয়া) আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কিন্তু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সমঝোতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে (বীরপ্রতীক) আসনটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ। দলের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন জাফর আলম। সে নির্বাচনে পরাজিত হয়ে এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাফর আলম। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার আগে ২০০৩ সালে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। পেশায় তিনি একজন মৎস্য ব্যবসায়ী।

চকরিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম লিটু বলেন, ‘কক্সবাজার-১ আসনে দলের সংসদ সদস্য না থাকায় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। এর আগে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম, আগুন সন্ত্রাস মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন জাফর আলম। সে কারণে দলের নেতাকর্মীরা চাইছেন জাফর আলম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করুক।’

ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর বলেন, ‘সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হবে। কীভাবে উন্নয়ন করতে হয় সব অভিজ্ঞতা জাফর আলমের রয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম সমকালকে বলেন, ‘আমি জনগণের ভোটে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একাধারে পৌরসভার মেয়র, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, এমপি নির্বাচিত হয়েছিলাম। দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সাধারণ জনগণ আমাকে বেশি ভালোবাসেন। তাই তাদের ভালোবাসা থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চাই না। পাশাপাশি আমার সংসদীয় আসনে নতুন এমপি সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে পূর্বের অভিজ্ঞতা দিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা করতে চাই।’

পাঠকের মতামত